ফরিদপুর অফিস: আগামী ২৭ মার্চ ফরিদপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীঃ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮ মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, সরকারি সারদা সুন্দরী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী গোলাম মোস্তফা, প্রেসক্লাব সভাপতি মো: কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, রাসিন নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার মুক্তা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সহকারি অধ্যাপক রিজভী জামান প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্মশতবর্ষে দেশের এ অর্জন এক বিরাট গৌরবের এবং আনন্দের। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের এ অর্জন নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেছেন। সভায় আগামী ২৭ ও ২৮ মার্চ দেশব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উৎসবটি সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। জেলার প্রত্যেকটি নাগরিক এ উৎসবে শামিল হয় তার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ২৭ শে মার্চ সকাল ১০ টায় র্যালীর মধ্যে দিয়ে উৎসবের সূচনা করা হবে। সাড়ে ১০ টায় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীঃ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাড়ে ১১ টায় উন্নয়ন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শনী দেখানো হবে। দুপুর সাড়ে ১২ টায় স্টল পরিদর্শন করা হবে। বিকেল ৪.০০টা থেকে ৬.০০ পর্যন্ত তরুণদের জন্য জাতির পিতার জীবনীর উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী, স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় তথ্য সমৃদ্ধ চিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী করা হবে। সেই সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ২৮ মার্চ সকাল ১০ টায় ‘রূপকল্প ২০২১ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ বিষয়ে সেমিনার, দুপুর ১২ টায় শিক্ষার্থী ও তরুনদের জন্য উন্নয়ন বিষয়ক কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, দুপুর আড়াই টায় স্থানীয় বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র প্রদর্শনী এবং বিকেল ৪ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। একই দিন বিকেল ৫ টায় অনুষ্ঠান সমাপনী হবে।
সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও এনজিও সংস্থার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সফলতা কামনায় এবং শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।