ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় নরেন্দ্র মোদি বিরোধীরা অতর্কিতে আক্রমন করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ ভাংচুর করেছে। এসময় বিক্ষোভকারীরা মোদীবিরোধী মিছিল করেছে। এসময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সাথে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে ৬ পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছে। ২৭ মার্চ’২০২১ শনিবার বাদ যোহর ঘটনাটি ঘটে। বিক্ষোভকারীরা ভাঙ্গা ঈদগাহ্ মসজিদে যোহর নামাজ আদায় শেষে মিছিল সহকারে থানা রোডে বেরিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণপর কোন কারন ছাড়াই পুলিশকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এরপরই তান্ডব চলতে থাকে।
বিক্ষোভকারীদের ঘন্টাব্যাপী বেপরোয়া তান্ডবে পুলিশের ব্যবহৃত একটি পুলিশভ্যান ও দুইটি মটর সাইকেল সহ সার্কেল অফিস, ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়সহ থানার প্রবেশের প্রধান ফটক ভেঙে চুরমার করে। এসময় ভাঙ্গা থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫০ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে।
ঘটনার খবর পেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান, র্যাব-৮ এর কোম্পানী অধিনায়ক খোরশেদ আলম, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন, এএসপি ভাঙ্গা সার্কেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, দুপুরের যোহরের নামায পড়ে হেফাজতের কর্মীরা একটি মিছিল বিশ্বরোড চৌরাস্তা হতে এসে ভাঙ্গা বাজারে প্রবেশ করে। হেফাজতের কর্মীদের কারনে হাই-ওয়েতে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ তাদেরকে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটিয়ে সরে যেতে বললে হেফাজতের কর্মীরা ঈদগাহ কাসেমুল উলুম মাদ্রসার প্রান্ত থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। সেখানে আমাদের পুলিশ তাদের শান্ত করতে চেষ্টা করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশের উপর ইট নিক্ষেপ সহ সরাসরি থানায় হামলা ও ভাংচুর চালায়। থানার অভ্যন্তরে তারা বেশ ক্ষতি সাধন করেছে।
এবিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাঙ্গা ঈদগাহ মাদ্রাসার মোহতামিম তল্লা হুজুরকে থানায় ডেকে এনেছি। বাকিটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় ঘটনার বিষয়ে মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছিল।